গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশী পেয়ে নির্বাচিত হন। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২,৩৮,৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২,২২,৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পরপরই জায়েদা খাতুনের সমার্থকদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। বাদ যায়নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও। সেখানেও তার ভক্ত অনুসারীরা বিভিন্নভাবে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকে আবার আবেগপ্রবণ কথাও লিখেছেন। নিচে কয়েক জনের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো-
সুমন তালুকদার নামের একজন ফেসবুকে পোস্ট করেন, দুঃসময়ে দল, স্ত্রীসহ সবাই ছেড়ে গেলেও মায়েরা সন্তানের পাশে থাকেন আমৃত্যু।
আরেকজন লিখেন, জায়েদা খাতুন-জিতবেন কি না জানি না। তবে, ‘মা জিতে গেছে’ -জাহাঙ্গীরের এই চিৎকারটা ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে পৌছে গেছে। অন্তত এই বয়সে যে সন্তানেরা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়, অন্তত সেইসব সন্তানেরা বৃদ্ধ মায়ের জন্য জাহাঙ্গীরের এই লড়াই দেখে কিছুটা হলেও লজ্জা পাবেন হয়তো!
এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন।