ছবিটি দেখে প্রথমেই মনে হতে পারে কোনো বিয়ের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু না; এটি কোনো বিয়ের আয়োজনের শামিয়ানা নয়।অবাক করার বিষয় এই শামিয়ানা প্যান্ডেলে চলছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার কিছুই জানেন না শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, এই কেন্দ্রে চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এসএসসি (জেনারেল) শিক্ষার্থী ৪৩২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) শিক্ষার্থী ২৭২ জন শিক্ষার্থী এ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। এদের মধ্যে শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২০ জন। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম না থাকায় কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশেই কলাবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেন্যু করেছে।
শামিয়ানার ভেতরে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘মাঠে ভিতরে শামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রের পাশে একটু দূরে কলাবধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছিল সেটাই পরীক্ষা কেন্দ্র করতে পারতো। কিন্তু সেটা না করে এই কেন্দ্রের সঙ্গে লাগানো প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে একটা ভেন্যু করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন থাকায় আসন সংকট হয়েছে। তাই মাঠে শামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছে। হঠাৎ যদি পরীক্ষা চলাকালীন বৃষ্টি নামে তাহলে কী হবে! এভাবে পরীক্ষা নেওয়াটা কখনোই ঠিক না।
কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. মুনায়েম বলেন, ‘কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাবধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেন্যুতে পরীক্ষা দিচ্ছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে আসন সংকট থাকায় শামিয়ানা করা হয়েছে। প্রথম পরীক্ষা কলাবধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের একাডেমি ভবনের পরীক্ষা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা একটা আবেদন দিতে বলেছেন। আমরা আজকেই আবেদন দেব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আর শামিয়ানার বিষয়টি আমি জানি না, আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি মাত্র শুনলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে। এ বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।