, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সিরাজগঞ্জে অর্ধশত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের চেষ্টা

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৪ ১১:০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৪ ১১:০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে অর্ধশত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের চেষ্টা
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চলমান এসএসসির বোর্ড পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি পরীক্ষায় ৫২ শিক্ষার্থীদের একাধিক বিষয়ে ফেল করার অভিযোগে ১৫ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এসএসসির বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও প্রধান শিক্ষকের অফিসের জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারী উপজেলার মফিজ উদ্দিন তালুকদার স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।

চলমান এসএসসির পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম এসএসসির টেস্ট পরিক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছিলো এক বিষয়ে ফেল করলে কাউকেই এসএসসির বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তবে টেস্ট পরীক্ষায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ৭-৮ বিষয়ে ফেল করেছে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ৫ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদেরকে এসএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। যারা ছয় বিষয়ের উপরে ফেল করে তারা প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেও এসএসসি পরীক্ষায় সুযোগ পায়নি। বোর্ড পরীক্ষা চলাকালে দ্বিতীয় দিন ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের দুই সহপাঠী ৬-৭ বিষয়ে ফেল করার পরেও এসএসসি বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে জেনে তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ শুরু করে এবং প্রধান শিক্ষকের বিচার ও তার পদত্যাগ এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা শিক্ষার্থী ইয়ালিদ,নাঈম হোসেন, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু স্যার আমাদের কথা শোনেনি। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমাদের স্যার পরিক্ষার সুযোগ দিলো না। আমরা পরীক্ষা দিলে অবশ্যই পাশ করতাম। আমাদের জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট করে দিলো। আমরা এই স্যারের পদ ত্যাগ ও শাস্তি চাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, আমাদের দুই সহপাঠীর বাবারা প্রভাবশালী ও টাকার বিনিময়ে ৬-৭ বিষয়ে ফেল করার পরেও পরীক্ষা দিচ্ছে। আমাদের প্রধান শিক্ষক আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের দেখতে পারেন না। আবার আমাদের বাবা-মা বিষয়গুলো নিয়ে আসলে তাদেরকেও অপমান করে বের করে দেয় এজন্য আমাদের ক্ষোভ থেকে প্রধান শিক্ষকের রুমে যেতে নিয়েছিলাম এবং জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আজহারুল ইসলাম মুন্জ বলেন, বিদ্যালয়ের ১৫৬ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসএসসির প্রস্তুতি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এর ভিতরে ১০৪ জনকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩টি বিষয়ে ফেল করলে তাদেরকে ৪টি বিষয়ে ফেল করলে বিবেচনায় ৫টি বিষয়ে ফেল করলে বিশেষ বিবেচনায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এদেরকে পরের বছর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু এই ৫২ এর মধ্যে ৮/৯ বিষয়ে ফেল করা ২জন শিক্ষার্থী কি করে চলমান এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে এই বাকি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আলম বলেন, যে দুইজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে তাদের কোনো সমস্যা নেই এটা আমাদের কম্পিউটারে ভুল হয়েছিল পরে কম্পিউটারে ভুলটি শুধরিয়ে তাদের দুজনকে ফরম পূরণের আবেদন করে যার প্রেক্ষিতে তারা পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর যারা পরীক্ষা দিতে পারেনি তারা আমাদের ছেলেদের মতো তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রশ্নই উঠে না। আগামীতে তারা আরো ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেবে আশা করছি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রবিবার, বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রবিবার, বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ