, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর ছেঁড়ার ঘটনায় ডাকা হয়েছে সেই ছাত্রীকে

  • আপলোড সময় : ১৩-০২-২০২৪ ১০:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০২-২০২৪ ১০:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর ছেঁড়ার ঘটনায় ডাকা হয়েছে সেই ছাত্রীকে
এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠা সেই শিক্ষার্থীকে ডেকেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটি। ঘটনার বিষয়ে তার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত কমিটি সেই সময়ের কথা জানতে হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়াকে চিঠির মাধ্যমে ডেকেছে।
 
গতকাল সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সরকারি মেডিকেল কলেজ) ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি হুমায়রা ইসলাম ছোঁয়ার পিতা মো. মাসুদ রানার রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসায় পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার সময় এ বিষয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করবে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণসহ যথাসময়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, শেরেবাংলা নগর ঢাকা-১২০৭ এ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, গত রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের খবরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে অভিযোগ জানাতে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী হুমায়রা ইসলাম ও তার পরিবার। এসময় তার স্বজনদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তৈরি হয় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।

এদিকে শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষার দিন পাশের এক শিক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া গেলে সন্দেহের জেরে তার উত্তরপত্র ছিড়ে ফেলেন হলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হুমায়রা স্বাস্থ্য অধিদফতরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, শনিবার পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আমার পাশের সিটের একটি ছেলেকে দাঁড় করায়। ওই ছেলের কানে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পায়। এসময় ওই শিক্ষক আমাকেও সন্দেহ করে আমার ওএমআর শিটটাও ছিড়ে ফেলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে আমাকে নতুন ওএমআর শিট আর নতুন প্রশ্নপত্র দেয়। তখন আর আমার হাতে কিছু করার নেই। ৪০ মিনিটে আমি যে ৭৫টি দাগিয়েছি সেগুলো পাঁচ মিনিটে কীভাবে দাগাব, আমার মাথায় তখন কিছু কাজ করছিল না।
 
এদিকে সন্তানের স্বপ্ন ভঙ্গের এমন করুণ পরিস্থিতি কোনো ভাবে মেনে নিতে পারেননি হুমায়রার বাবা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সবাই আমার মেয়ের জীবনটা ভিক্ষা দেন। আমার মেয়ে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থী। আমার মেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে নিয়ে পড়াশোনা করেছে। প্রথমবার সুযোগ না হওয়ায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেল।

এ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অভিযোগের সত্যতা মিললে শিক্ষার্থীর জীবন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তারা। এদিকে হস্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেন, আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটির মাধ্যমে যাচাই করা হবে পরীক্ষার দিন ওই হলে কী ঘটনা ঘটেছিল। আমরা চাইব কোনো অবস্থাতেই এই মেডিকেল ভর্তি প্রত্যাশী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’