শেষ হলো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ সকাল ৮টায় ইভিএম পদ্ধতিতে শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকাল ৪টায়। ভোট গণনা শুরু হবে বিকাল ৫টায়। এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৪৯৭টি কক্ষে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল সিসি ক্যামেরা। এগুলো ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হয়। মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৫৭টি ওয়ার্ডে ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট। র্যাবের ৩০টি টিম ও বিজিবির প্রায় ১৩টা প্লাটুন সদস্য। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম তৈরি ছিল। তবে নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ছিল। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে এসে তাদের ভোট দিয়েছেন। অবশ্য কিছু জায়গায় ইভিএম জটিলতায় এর ধীর গতি নিয়ে অভিযোগ আসে।