, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সিরাজগঞ্জে দারিদ্রতা জয় করে মেডিকেলে চান্স, ভর্তিতে আর্থিক সংকট

  • আপলোড সময় : ১২-০২-২০২৪ ০৫:৩৪:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০২-২০২৪ ০৫:৩৪:০০ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে দারিদ্রতা জয় করে মেডিকেলে চান্স, ভর্তিতে আর্থিক সংকট
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: অভাবের সংসারে দারিদ্রতার কষাঘাতে বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল মেহেদী পড়াশোনা করে বড় হয়ে সংসারের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেবে। পিতার লন্ডির দোকান থেকে যেটুকু আয় হয় তা দিয়েই চলে ৪জনের পরিবার। অভাবের সংসারে দিনের পর দিন কষ্ট ও না খেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন মেহেদী। প্রচন্ড জ্বর নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে লন্ড্রি ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের (৪৭)  ছেলে মেহেদী হাসান সুযোগ পেয়েছেন। খুবই খুশি পরিবারটির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই মেহেদীর পরিবারের।

উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের চরকুড়া গ্রামের দরিদ্র লন্ড্রি ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে মেহেদী। অসচ্ছল পরিবার থেকে বেরে ওঠা মেহেদীর স্বপ্ন কতটা সার্থক হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার বাবা-মা। এদিকে ছোট ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে ৷ লন্ড্রি ব্যবসায় করে দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি দুর্ব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে সংসারও চালাতেই হিমসিম খেতে হয় আমজাদ হোসেনকে। 

মেহেদী এবছর মেধা তালিকায় দুই হাজার নয়শত বিরানব্বই হয়ে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে উপজেলা জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ এবং সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। 

মেহেদীর বাবা আমজাদ হোসেন জানান, দুই ছেলের মধ্যে মেহেদী বড়। ওর এই সাফল্যে আমরা সহ আত্মীয় স্বজনরা অনেক খুশি।  তবে দুশ্চিন্তা হলো ছেলের ভর্তির খরচ কতটা জোগাড় করতে পারবো সেটা নিয়ে।  প্রতিদিন যা ইনকাম করি তা দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়।  এখন এই বাড়তি খরচ কিভাবে যোগাড় করবো তা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি ৷

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ জানান, মেহেদীর মেডিকেলে সুযোগের খবরটি অত্যন্ত আনন্দজনক।  তার ভর্তির খরচের ব্যপারে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারি তা আমি করবো৷

বিষয়টি নিয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, আমরা ছেলেটির মেডিকেলে চান্স পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আর্থিক সংকটে ছেলেটিকে যতটুকু সহযোগীতা করা আমরা করবো।
কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রবিবার, বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি রবিবার, বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ