আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে দৈনিক গড় আয় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আজ বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধনের পর থেকে গত ১৯ মাসে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ২৭০ কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫০ টাকা। উদ্বোধনের পরে এক বছরেই (২০২৩ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত) আয় হয়েছে প্রায় ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং দৈনিক গড় আয় প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশে শ্রমশক্তির প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশের কর্মসংস্থান ঘটেছে। দেশে দশমিক ৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, সেতুটি ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এ সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হবে। ফলে বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন ত্বরান্বিত হবে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক জীবনচিত্র পাল্টে গিয়ে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ দামের পণ্য ও সেবা উৎপাদন/রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ফলে জনসাধারণের আয় তথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।