এবার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অংশে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ হচ্ছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আজ রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।
তুমুল যুদ্ধাবস্থায় মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ১০ গুলিবিদ্ধসহ ৬৬ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- প্রবীর চন্দ্র ধর ও একজন নারী (নাম-পরিচয় জানা যায়নি)।
তারা দুজনই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। গোলাগুলিতে কোনাপাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহআল মাসরুকি জানান, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির অনেক সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কতজন মিয়ানমার বিজিপির সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন এখনই সংখ্যাটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাদের প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।
সীমান্ত পথে আরও অনেক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।