আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলায় বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০)-এর ১২ ও ৪(২) (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফসলি জমিতে অথবা ফসলি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করা দন্ডনীয় অপরাধ।
উপজেলার মহিষ-ডাঙ্গা গ্রামের একটি ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে গাছের গুঁড়ি দিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইটভাটা স্থাপন করতে হলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইব্রিড হফম্যান, জিগ-জ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন্ অথবা পরীক্ষিত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশ-বান্ধব ইটভাটা স্থাপন করার বিধান রয়েছে। উপজেলার মহিষ-ডাঙ্গা গ্রামের আবাসিক এলাকায় সরকারের নীতিমালা তোয়াক্কা না করে কাঠ-পুড়িয়ে ইট বানানো হচ্ছে। ইটভাটাটি লোকালয়ের পাশে এবং ফসলের মাঠে স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে হাত করেই এসব ভাটা চালানো হয় বলে ইটভাটা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমতলী উপজেলার মহিষ-ডাঙ্গা গ্রামে এমকেবি ব্রিকসের মালিক সোবাহান কাজী ইটভাটার পাশে করাতকল (স-মিল) বসিয়ে কাঠ চেরাই করে ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইটভাটা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ভাটার পাশে প্রদর্শনের জন্য সামান্য কয়লা মজুদ থাকে এবং বছরের পর বছর সেগুলো অব্যবহৃতই থেকে যায়।
তবে লোকালয়ে এবং ফসলি জমিতে স্থাপিত আমতলী উপজেলার এই ইটভাটার বিরুদ্ধে সম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন অথবা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বেশ কয়েক ব্যক্তি।
তাঁরা জানান ইটভাটার মালিক খুবই প্রভাবশালী। এ কারণে সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলছে না। অভিযোগের বিষয়ের জানতে চাইলে এমকেবি ব্রিকসের মালিক সোবাহান কাজী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলার লোকালয়ের খুব কাছে স্থাপিত ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য-ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন আমতলী উপজেলা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুনয়েম সাদ ।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শুভ্রা দাস জানান, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (অতিঃ দাঃ) (উপসচিব) মোঃ ইকবাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, আইন অমান্যকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।