তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় দেশজুড়ে মাঘের শীত জেঁকে বসেছে। তীব্র শীতের মধ্যেই গত সপ্তাহে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির মধ্যে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ। তবে মেঘ কেটে গেছে, আপাতত বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই। এর ফলে তাপমাত্রা কমে শনিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
আজ থেকে রাজশাহী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর বিভাগের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। মূলত কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুই থেকে তিন দিন ১০-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। দেশের অনেক অঞ্চলের আবহাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের আজ রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে আগামীকাল দিনের তাপমাত্রা থাকতে পারে অপরিবর্তিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এদিকে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল আরও বেশ কিছু অঞ্চলে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।