এবার জার্সির ডিজাইন দুর্দান্ত ঢাকার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন। কিন্তু কারও কোনো সড়া মিলছে না। মাহির সরওয়ার মেঘ ধরেই নিয়েছিলেন, এবার মনে হয় আর হচ্ছে না। এর মধ্যে অনুশীলন শুরু হয় ঢাকার।
এদিকে তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামদের গায়ে জার্সি দেখে চমকে উঠেন মেঘ। একটু এদিক-সেদিক করে তারই ডিজাইনকৃত জার্সি শেষ পর্যন্ত পছন্দ করে ঢাকা। এই মেঘ ২০১২ সালে নিজ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি দম্পত্তির একমাত্র সন্তান।
পড়াশোনা, ক্রিকেটের পাশাপাশি শখের বসে ডিজাইন করেন তিনি। দুর্দান্ত ঢাকার ভুলের কারণে মেঘ আগে থেকে জানতে পারেননি। তাতে তার মনে কোনো দাগ নেই। উল্টো অনেক উচ্ছ্বসিত, তার ডিজাইন করা জার্সি পরে তাসকিনরা খেলবেন বলে।
গতকাল বৃ্হস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি মেঘ শোনান জার্সি তৈরির পেছনের গল্প, ‘আমি শখ থেকে এসব ডিজাইন করি। আগে থেকে চিন্তা করছিলাম। কোন দলের জার্সি বানানো যায়। যেহেতু দেখলাম ঢাকা দলটা নতুন, তাই এটাই তৈরি করলাম।’
মেঘ বলে, ‘যেহেতু ঢাকার জার্সি, তাই চেষ্টা করেছি জার্সির মধ্যে ঢাকা শহরের ছাপ থাকুক। সেই ভাবনা থেকে আমি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য বেছে নেই। তবে কর্তৃপক্ষ আমার ডিজাইনটা রেখেছে, সঙ্গে নতুন ঢাকার কিছু অংশ (মেট্রো রেল) যোগ করে দেয়’।
কিছু বুঝে ওঠার আগে বাবা-মাকে হারানো মেঘের ধ্যান-জ্ঞান ছিল ক্রিকেট। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবে অনুশীলন করেন। ২০২২ সালে খেলেছেন পঞ্চগড়ের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। তবে আপাতত ব্যাট-প্যাড দূরে রেখেছেন ও লেভেলের পরীক্ষা ঘনিয়ে আসছে বলে।
এদিকে ক্রিকেট সামগ্রী দূরে রাখলেও মেঘ ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেননি। সময় পেলেই মনোযোগ দিয়েছেন জার্সি ডিজাইনে। বিপিএলের পর মেঘের নজর আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে।
প্রত্যাশা সাকিব আল হাসানরা তার জার্সি পরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, ‘এটা আমি নিজ থেকে সময় পেলেই করি। কাজটা আমার ভালো লাগে। আমি এখন থেকে জাতীয় দলের জার্সির জন্য কাজ করবো। আশা করি বিশ্বকাপের জন্য আমার ডিজাইন পছন্দ হবে বোর্ডেরও।’