অফিসের টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এসএসসি পরীক্ষার বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)। দুই ব্যক্তি ব্যস্ত উত্তরপত্রে বৃত্ত ভরাট করতে। কক্ষের বাইরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অবস্থান করছেন। এ সময় এক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন নম্বরের কথা বলে এক শিক্ষকের খোঁজ করেন।
গত রবিবার থেকে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ও রবিবারের একাধিক পরীক্ষায় দায়িত্বরত কয়েকজন শিক্ষক মিলে তাদের পরিচিত শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে এ কাজটি করে দেন। তাদের মধ্যে খণ্ডকালীন শিক্ষকও রয়েছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেনকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষা শেষে আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট পূরণ করানো হচ্ছে এমন একটি ভিডিওতে দেখা গেছে।
এ ঘটনার প্রকৃত কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। এ বিষয়ে জানতে আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।’