এখন মোবাইলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েই চলেছে। দিনদিন উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল এসে মানুষের চাহিদা ও আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। যেখানে আইফোন বড় একটি জায়গা দখল করে আছে। কিন্তু এই আইফোনের প্রতি আকর্ষণ কখনও কখনও ধ্বংসের কারণও হয়ে ওঠে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে।
গতকাল মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি থেকে নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই শাস্তি ঘোষণা করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে তিনি দুই বছরের শাস্তি পেলেও সেখান থেকে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করেছে আইসিসি। তাতে দেড় বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে নাসিরকে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত টি-১০ লিগে খেলতে গিয়েছিলেন নাসির। টুর্নামেন্টটিতে খেলাকালীন সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির থেকে আইফোন-১২ মডেলের একটি নতুন মোবাইল ফোন উপহার নিয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টম্বরে নাসিরকে অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। তখন থেকেই ক্রিকেটের বাইরে রাখা হয় নাসিরকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আইসিসির ২.৪.৩ ; ২.৪.৪ ও ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে শাস্তির ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
এদিকে আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। তিনি আইফোন-১২ মডেলের নতুন মোবাইল ফোন (দাম- ৭৫০ মার্কিন ডলার) উপহার নেয়ার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি। এছাড়া সন্দেহজনক ব্যক্তির কাছ থেকে এই উপহার নিয়ে তিনি সেটিকে গোপন করেছেন এবং আইসিসির তদন্তে অস্বীকার করেছেন।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পরে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ডিপিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নাসিরকে। এছাড়া কিছুদিন পরে শুরু হওয়া বিপিএলের ড্রাফটেও তার নাম রাখা হয়নি। আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল তার দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।
পরবর্তী ৬ মাসও তিনি শাস্তির আওতায় থাকবেন। তবে সে সময়ে তিনি আইসিসির দেয়া শর্ত পূরণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে ১১৫ ম্যাচ খেলেছেন নাসির হোসেন। যেখানে তিনি ২ হাজার ৬৯৫ রান করেছেন এবং বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।