কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা আলিফ মাহমুদ আদিব। ছোটকাল থেকেই তিনি ভ্রমণপিপাসু। এ যুবকের বয়স এখন ২৫ বছর। এর আগে সাইকেলে করে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন আলিফ মাহমুদ। এরপর ইচ্ছে জাগে সারা বিশ্ব ভ্রমণ করার।
নিজেকে খাঁটি মুসলিম দাবি করে এই যুবক প্রথম সফর পায়ে হেঁটে মক্কা-মদিনায় যেতে চান। গত বছরের ৮ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে পবিত্র মক্কা-মদিনায় হজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বর্তমানে ১৯০ দিনে ইরানের একটি মরুভূমির পথ ধরে হাঁটছেন।
এদিকে আলিফ মাহমুদ নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চলতি বছরে বড় হজ করার কথা রয়েছে তার।
আলিফ মাহমুদ এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জানায়, বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা যশোরের পথ ধরে বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে ৬৭ দিনে ভারতের ৭টি রাজ্য হেঁটে ভারতের ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে যান। পাকিস্তানে ৪৪ দিন হেঁটে করাচি লাহোর, পাঞ্জাব হয়ে রিমদান সীমান্ত পার হয়ে ইরান প্রবেশ করেন আলিফ মাহমুদ। বর্তমানে ৭ দিন ধরে ইরানের একটি মরুভূমির পথ হেঁটে ইরাকের দিকে রওনা দিয়েছেন আলিফ।
এদিকে ইরানের একটি মরুভূমি থেকে আলিফ মাহমুদ ভিডিও কলে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ভ্রমণপিপাসু মানুষ। আমি যখন পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণ করি তখন আমার বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে হয়। আমি যেহেতু মুসলিম তাই আমার প্রথম সফর মক্কা মদিনায় করার ইচ্ছে থেকে এ বের হওয়া। যাতে আমি পুরো বিশ্বকে একটি ম্যাসেজ দিতে পারি।
দীর্ঘ এ সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে আলিফ মাহমুদ জানায়, দীর্ঘ এ সফরে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা দেশের মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। অনেক মানুষ আমার সাথে হেঁটে আমাকে এগিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন। হাঁটতে গিয়ে আমি ছিনতাইয়ের কবলেও পড়েছি। ইমিগ্রেশনে অনেক ঝামেলাও হয়েছে।
অনেক সময় ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে গেলেও আমার জন্য স্পেশাল ইমিগ্রেশন চালু করে আমাকে সীমান্ত পার হতে সহযোগিতা করেছেন। আমি আমার বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করাতে আমার দেশের পতাকা উড়িয়েছি বিভিন্ন দেশে। চলতি পথে অনেক মুসলিম ভাই আমাকে নানা সময়ে আপ্যায়ন করিয়েছেন, রাতে ঘুমানোর জায়গা দিয়েছেন। এ সফরে আমার ওপর আল্লাহর পূর্ণ রহমত আছে।
এদিকে আলিফ আরও জানান, মক্কায় যাওয়া পর্যন্ত আমার পুরো খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের দুলাল কাজী গ্রুপের মালিক ইমাম কাজী। আমার এ যাত্রায় সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।