, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


নীলফামারীতে ৮ দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের

  • আপলোড সময় : ১৫-০১-২০২৪ ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০১-২০২৪ ১০:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীতে ৮ দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের
দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের দাপটে জবুথবু পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। টানা ৮ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।
 
আজ সোমবার ১৫ জানুয়ারি সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
 
এমন অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন বাস টার্মিনালসহ পাবলিক প্লেসে লোকজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষিশ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

এদিকে জেলা ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ এলাকার দিনমজুর হাফিজুল ইসলাম বলেন, তীব্র ঠান্ডায় কাজে যেতে পারছি না। অভাবের সংসার, কাজে যেতে না পারায় খুব সমস্যায় আছি। শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হামিদুর রহমান সঙ্গে। তিনি বলেন, ঠান্ডার কারণে মানুষ বাইরে বের হচ্ছেই না, চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার জুটবে না। বাধ্য হয়ে প্রচন্ড শীতের মধ্যেও রাস্তায় বেরিয়েছি।

ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ এলাকার কৃষক সুজন ইসলাম বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা পেটের দায়ে কাজে আসছেন তারাও শীতের মধ্যে টিকতে পারছেন না। প্রায় ছয়-সাতদিন থেকে সূর্যের দেখা নাই। 
সর্বশেষ সংবাদ
শাহাবাগ-ঢাবি ক্যাম্পাসে গাড়িতে অপরিচিত মানুষ, সতর্ক অবস্থানে শিক্ষার্থীরা

শাহাবাগ-ঢাবি ক্যাম্পাসে গাড়িতে অপরিচিত মানুষ, সতর্ক অবস্থানে শিক্ষার্থীরা