গাজীপুরের টঙ্গীতে কনকনে শীত উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতির কাজ করে যাচ্ছেন মুসল্লিরা। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে তারা আসছেন। ময়দানের বিভিন্ন কাজে স্বেচ্ছায় সময় দিচ্ছেন।
আগত মুসল্লিরা ময়দানে সামিয়ানা তৈরি, চট বাঁধাই, খুঁটি গাথা, মাটি কাটা, ময়লা-আর্বজনা ও ড্রেন পরিষ্কার, বিদেশিদের কামরা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ করছেন। দ্বীনের মেহনত ও আল্লাহকে রাজি খুশি করতেই তারা শ্রম দিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে ময়দানে কাজ করা এক সাথী মো. ইমদাদ উদ্দিন বলেন, আল্লাহর কাজ করতে এসে যত মেহনত হবে, ততই সওয়াব হবে। আল্লাহকে পেতে চাইলে একটু কষ্ট করতেই হবে। আর আল্লাহর জন্য কষ্ট করলে, আল্লাহ তায়ালা রাজি খুশি হয়ে যাবেন। এই কষ্টের ফল আখেরাতে পাওয়া যাবে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এর ৪ দিন পর শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা সা’দ এর অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বে এ ইজতেমা ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।
শুক্রবার সকালে ঘুরে দেখা যায়, নরসিংদী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, গাজীপুর থেকে অনেক সাথী ময়দানে আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবারও ইজতেমার প্রথমে পর্বে থাকছে মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের অংশগ্রহণ। এ পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষের চারদিন পর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা সা’দ এর অনুসারীরা।
মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আগত মুসল্লিদের সেবায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ময়দানের চারপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে টয়েলেট ও গোসল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইজতেমা সফল করতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, র্যাব ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আমি নিজে প্রতিদিন ময়দানের খোঁজখবর রাখছি।