এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু।
এদিকে পরাজয়ের পর অন্য প্রার্থীরা মুখ খুললেও চুপ ছিলেন মমতাজ। তবে নিজের নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তার। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছেন তিনি। দিয়েছেন হুঁশিয়ারি।
নির্বাচনে হারার পর মমতাজের ৫০–এর বেশি নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হেরেও তাদের পাশে থাকার কথা বলেন মমতাজ।
এ সময় মমতাজ বেগম বলেন, আমি সারা পৃথিবী চষে বেড়ানো মহিলা, আর দশটা মেয়ের মতো আমি না। আমার এই জনগণের জন্য জেল খাটতে রাজি আছি। আমার যদি মোকাবিলা করতে হয় রাজপথে দাঁড়ায়া, আপনাদের নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করব। জেল–জুলুল অত্যাচার কোনো কিছু আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু ডরে ঘরের কোণে বসে থাকা মহিলা না। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরপর থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। হান্নান ভাই, মেয়র সবাইকে বলব, যেখানে যে ঘটনা ঘটবে, সেখানে সবাই মিলে প্রতিবাদ করব।