দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পথে থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে তার দলের শীর্ষ নেতারা।
নির্বাচনের একদিন পর মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় মঞ্চের সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা জানানোর সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফঝাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে কোনপ্রকার দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এরপর যেন কোথাও কোনরকম, কারও সাথে কোন দ্বন্দ্ব, কোনকিছু না হয়। যারা জয়ী হয়েছেন, সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, সেটা অন্য দল বা স্বতন্ত্র সকলে মিলে এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে।
‘এটা মনে রাখতে হবে, পেছনে কিন্তু শত্রু লেগে আছে। এরা মানুষ পোড়ানো থেকে শুরু করে এমন কোনও জঘন্য কাজ নেই তারা করে না। কাজেই শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষ সাধারণ মানুষ যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন, সেটা মেনে নিয়ে সকলকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আ.লীগ ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন।