কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া-২,(ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে ১৪দলীয় জোট মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সারা দেশেই একটা বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শেষ পর্যন্ত একভাবে জনগনের অংশ গ্রহনসহ সারা পাওয়া গেছে, সেদিক তেকে মনে হয় নির্বাচনী কাজটা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সব জায়গায় কিভাবে নির্বাচন হয়েছে সেটা আমাকে দেখতে হবে।
তবে কুষ্টিয়া-২ আসনে যেভাবে নির্বাচন হলো সেখানে আমি মনে করি পরিকল্পিত ভাবে ভোট কারচুপি হয়েছে। এখানে প্রশাসনের রহস্য জনক নিরবতা ও নিষ্কিয়তায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হইছি এবং পরাজিত হইছি। এলাকায় সবাই জানেন কালো টাকার ছড়াছড়ি, মাস্তানি পেশিশক্তির প্রভাব থাকলেও প্রশাসনের নিরতার কারনেই আমি পরাজিত হয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি আবারও বলবো প্রশাসনের পরিকল্পিত নিষ্ক্রিয়তা পরাজয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছে। কেনো প্রশাসনের এই উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তা, সেটা অ পরে ভেবে দেখবো আমি’।
সোমবার বেলা ১২টায় ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়-কালে ইনু এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘কেবল নির্বাচন শেষ হলো, এমুহূর্তে রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ভাবিনি, এমুহূর্তে দল বসবো, তারপর পরবর্তী রাজনৈতিক পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করবো। তবে ১৪দলীয় জোটের যে নির্বাচনী বিজয় এবং তার ভিত্তিতে জোট নেত্রী সেখ হাসিনা নতুন ভাবে সরকার গঠন করবেন, সেটা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার জন্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। আমি সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি’। এভাবেই নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছিলেন ইনু।
‘যুব সমাজকে নিয়ে স্মার্ট জাতি গঠনের অঙ্গীকার এবং আ লিক টান আমাকে বিজয়ী করেছে’ কুষ্টিয়া-২এ বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল সংসদীয় আসন-৭৬, কুষ্টিয়া-২এ নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কামারুল আরেফিন বলেন, ‘৭৫র পর এপর্যন্ত আমার মিরপুর থেকে কোন আওয়ামী লীগ নেতা এমপি হতে পারেনি, আমিই একমাত্র ব্যাক্তি যে প্রথম আওয়ামী লীগের ঝান্ডা নিয়ে এমপি হতে পেরেছি। সোমবার দুপুরে মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর গ্রামের নিজ এলাকায় বিজয় মালা পড়ে উল্লসিত আনন্দ মুখর নেতাকর্মীদের সাথে মসবেত হওয়ার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কামারুল আরেফিন আরও বলেন,‘আমার উপজেলা বাসী দীর্ঘদিন ধরে বি ত ছিলো। এলাকার উন্নয়নে জনগনের দেয়া ভালোবাসা আমি মাথায় তুলে নিয়ে বেড়াতে চাই। জনগনের সাথে থেকে আমি কাজ করতে চাই। আমার বিজয়ে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি পরিমাণ জনগনের মাঝে সারা ফেলেছে সেটা হলো- বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে আমার মিরপুর ভেড়ামারার যুব সমাজকে সাথে নিয়ে স্মার্ট জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই। শিক্ষাখাত যুব সমাজ যারা রেমিটেন্স যোদ্ধারা যাবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইন্টারনেট কম্পিউটার ভিত্তিক একটা যুব সমাজ গড়তে চাওয়ার অঙ্গীকারে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে জনগণ।