আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। সেই হিসাবে আজ প্রচারণার শেষ দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার চার সংসদীয় আসনের ২৪ জন প্রার্থী শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকেরাও। প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো. শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, শুক্রবার (আজ) সকাল ৮টায় প্রচার প্রচারণা শেষ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রার্থী পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া নির্বাচনি যেকোনো তথ্য অবহিতকরণের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৪ সংসদীয় আসনে ১১০৯৭ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে নির্বাচনি অপরাধ দমনে চার সংসদীয় আসনে ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে নামছেন। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজারের জন্য ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়।
কক্সবাজার জেলায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন-কক্সবাজার-১ আসনের চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসাইন, পেকুয়া উপজেলায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তার, কক্সবাজার-২ আসনের কুতুবদিয়া উপজেলায় কুতুবদিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী, মহেশখালী উপজেলায় মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সোয়েব উদ্দীন খান, কক্সবাজার-৩ আসনের কক্সবাজার সদর উপজেলায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) কৌশিক আহম্মদ খোন্দকার, ঈদগাঁও উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ সায়মা আফরীন হীমা, রামু উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ ওমর ফারুক, কক্সবাজার-৪ আসনের উখিয়া উপজেলায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ ও টেকনাফ উপজেলায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম।
নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের অনুকূলে যানবাহন, সহায়ক স্টাফ, পুলিশসহ আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।
প্রথম শ্রেণির বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নির্বাচনি মাঠে দায়িত্ব পালনের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের গত ১ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্রিফিং/প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪ সংসদীয় আসনে ১১০৯৭ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৫৫৬ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৫০৫ জন এবং পুলিং কর্মকর্তা ৭০১০ জন। চারটি সংসদীয় আসনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জেলায় চার আসনে ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা রয়েছে ৩৫০৫টি। এছাড়াও রয়েছেন ৯:জন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার চার সংসদীয় আসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা শেষ সময়ের প্রচারণা শেষ করেছেন। পথসভা, গণসংযোগসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন তারা। বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা চষে বেরিয়েছেন।