কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আককাছ আলী সরকারের প্রচার মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে উলিপুর-চিলমারী সড়কে পৌর শহরের ব্রাক অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উলিপুর থানার ওসিসহ বিজিবির গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। কিছু সময় পরে র্যাবের গাড়িও ঘটনাস্থলের পৌঁছায়। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে ডাকলেও ঘটনাস্থলে যাননি তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আককাছ আলী সরকার জানান, বিকেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তার প্রচার মাইক যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পৌরসভার নুরপুরে ব্র্যাক অফিসের পাশে রিকশা আটকে দুটি মাইক ভাঙচুর করে। ফোনে বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। পরে ঘটনাস্থলে অ্যাসিল্যান্ড, ওসিসহ বিজিবি, র্যাবের গাড়ি যায়। তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নির্বাচনে বড় কোন প্রভাব পড়বে না। দুষ্টুরা তো এটা করবে। এর জন্য প্রশাসন আছে।
অটোচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, বুড়াবুড়ি থেকে মাইক নিয়ে উলিপুর হয়ে তবকপুর যাওয়ার সময় ব্র্যাক অফিসের সামনে আছরের আযান দিলে মাইক বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকি। সে সময় তিনজন লোক এসে জানতে চায়, এটা কার প্রচার মাইক। ট্রাক মার্কার বলার পরই মাইক ভেঙে একটা মাইকের ইউনিট নিয়ে যায়। বাধা দিলে আমাকেও মারধর করে। প্রথমে চিনি নাই। পরে শুনি উনি তবকপুরের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান আর দুইটা লোক ছিল।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি আমরা। তারা চেয়ারম্যানের কথা বলছে। তবে বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এ প্রসঙ্গে তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি অসুস্থ। আমার ডায়াবেটিস ১৬। এসব অভিযোগ মিথ্যা। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আমার ওপর দিয়ে চালাতে চাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, মুঠোফোনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশসহ বিজিবি নিয়ে মাঠে যাই। অটোচালকের সাথে কথা বলি। ভাঙচুর-কারীদের নাম সে বলতে পারেনি। তবে ঘটনার সময় উপস্থিত কেউ তাকে বলেছিল তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আরো দুজনসহ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থলে ডেকেছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলও তিনি আসেননি। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে।