এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অসংখ্য নিরীহ মানুষ নিহতের পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। গাজার মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদুলু জানায়, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ১৪শ বছরের পুরোনো ওমারি মসজিদসহ ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় মোট নিবন্ধিত ৩২৫টি পুরাকীর্তির মধ্যে ২০০ টির বেশি ইতোমধ্যে ধ্বংস করে ফেলেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ৮শ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৪শ সালের মধ্যে অর্থাৎ ফিনিশিয়ান এবং রোমান যুগের অনেক পুরাকীর্তিই ধ্বংস হয়ে গেছে এ হামলায়।
প্রসঙ্গত গাজা হলো এমন একটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক শহর যা ফারাও, গ্রীক, রোমান, বাইজেন্টাইন এরপর ইসলামি যুগ সহ বিভিন্ন সাম্রাজ্য ও সভ্যতার শাসনের স্মৃতি বহন করে।
এদিকে গাজা মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া স্থাপনার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন গির্জা, মসজিদ, স্কুল এবং জাদুঘর সহ অন্যান্য আরও ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং স্মৃতিস্তম্ভ। ধ্বংস হওয়া স্থাপনার মধ্যে ওমারি মসজিদ, জাবালিয়ায় বাইজেন্টাইন গির্জা, মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরের আল-খাদিরের মাজার এবং উত্তর-পশ্চিম গাজা শহরের বলাকিয়া বাইজেন্টাইন সমাধি উল্লেখযোগ্য।
এরমধ্যে গাজার প্রাচীনতম ওমারি মসজিদ উল্লেখযোগ্য । ধারনা করা হয় ৫ম শতাব্দীতে এ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। জেনেভা ভিত্তিক ইউরো মেড মনিটর গত ২০ নভেম্বর তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ধ্বংস করেছে যা স্পষ্টতই ফিলিস্তিনি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংসের প্রয়াস।