সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট সিটিতে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক। শনিবার বিকালে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে এক জনসভায় এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতা আরিফুল দলের সিদ্ধান্তই মেনে নিলেন।
জানা যায়, সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন ২ এপ্রিল হঠাৎ লন্ডন সফরে যান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। যুক্তরাজ্য সফরকালে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। দেশে ফিরে তিনি প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো কিছু পরিষ্কার করেননি। কেবল ২০ তারিখে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে কী জানাবেন? নির্বাচন থেকে রণেভঙ্গ দেবেন, নাকি দলের সিদ্ধান্তে অটল থেকে মেয়াদকালে নগরের উন্নয়নে সরকারের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরবেন? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অধীনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দলের এই নির্দেশনা মানতে তৃতীয়বারের মতো মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন না আরিফুল হক চৌধুরীও। কেননা, মেয়র পদে প্রার্থী হলে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা পোষণ করছেন তিনি। আর এটা হলে মসনদের পাশাপাশি দলের পদও হারাতে হতে পারে তাকে। তাছাড়া সিলেট বিএনপিতে গড়ে ওঠেছে আরিফ এন্ট্রি বলয়। নির্বাচনে দাঁড়ালে ওই বলয়ও তাকে ডুবাতে সচেষ্ট থাকবে।
আরিফের ঘনিষ্ট বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ভোটের আগে সমীকরণ মেলাচ্ছেন আরিফ। তার এই হিসাবের মধ্যে দলের বিরোধিতা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিএনপির রাজনীতিতে পুনরায় ফিরতে পারবেন কি না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কি না, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আরিফ বলয়ের দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনে তারা এজেন্টের দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না। এতে ৪২টি ওয়ার্ডের মোট ১৯০টি কেন্দ্রে বিশ্বস্ত এজেন্ট পাওয়া যাবে কি না এবং ইভেএমে সুষ্ট’ ভোট হবে কি না।