, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সংবাদ সারাবেলার সম্পাদককে বেআইনিভাবে আসামি বানালেন মতলব থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার

  • আপলোড সময় : ২৭-১২-২০২৩ ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-১২-২০২৩ ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ সারাবেলার সম্পাদককে বেআইনিভাবে আসামি বানালেন মতলব থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার
একেই হয়তো বলে ক্ষমতার দাপট। তাই সবধরনের আইনের খেলাপ করে নিজের ইচ্ছেয় ‘দৈনিক সংবাদ সারাবেলা’র প্রকাশক প্রথিতযশা সম্পাদককে বেআইনিভাবে আসামি বানালেন মতলব থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছানোয়ার। পরিকল্পিতভাবে তিনি মামলাটি সাজিয়েছেন যা এজেহার থেকে স্পষ্ট। 

সংবিধান মতে, থানায় যে কেউ সুবিচার চেয়ে মামলা করতে পারেন। তবে প্রাথমিকভাবে সেটি অভিযোগ আকারের থানায় লিপিবদ্ধ হয়। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে তা নিয়মিত মামলা হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে আইনের সেই বিধানকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতামূলে মামলাটি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এলে সেটি তদন্ত করে তারপরে নথিভুক্ত করার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে মতলব থানার ওসি ছানোয়ার আইনের সে বিধান মানেননি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তিনি মামলা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। 

দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মামলা গ্রহণের বিষয়ে ওসি ছানোয়ারের কাছে সেলফোনে জানতে চান। 

তিনি এ ধরনের মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের কোন ধরা লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি দুর্দান্ত প্রতাপ দেখিয়ে জবাব দেন, নিশ্চয়ই এই মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে মেরিট রয়েছে। আমি তদন্ত করে মামলার বিবাদীদের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করেছি। আর তদন্ত করেই মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।’ কোন ধরনের তদন্ত করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমার পুলিশ তদন্ত করেছে তারা আসামীদের কাছে ককটেল পেয়েছে, ভোটের সামনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমি মামলটি নিয়েছি নথিভূক্ত করেছি।’ এরপর ছানোয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মামলার এজেহারে সময় ও দিন নির্ধারণ করা আছে ২৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটা। আর আপনি মামলটি নিয়ে তা নথিভূক্ত করেছেন পরেরদিন ২৬ ডিসেম্বর। এই স্বল্প সময়ে আপনি কীভাবে তদন্ত করে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আসামীদের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করেছি তারপরে আমি মামলা নিয়েছি।’ 

জানা গেছে,দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক সংবাদ সারাবেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী আবু জাফরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলাটি করেন ষাটনল ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪)।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার সময় মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার সুগন্ধী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে প্রচারণার জন্য নৌকার পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর সময় বিবাদীরা বেআইনি  জোটবদ্ধভাবে  পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র লাঠিসোঁটা ও ককটেল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করেন। বিবাদীরা আমাদেরকে উদ্দেশ করে এলোপাতাড়িভাবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এমন অভিযোগ এনে চাঁদপুর মতলব উত্তরের ষাটনল ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪) বাদী হয়ে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক, মোহনপুর পর্যটনের সিইও এবং বিল্ডেক্স মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক কাজী আবু জাফরকে ২নং বিবাদী করে মোট ২৭ জনের নামে মতলব উত্তর থানায় একটি  মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৯ তারিখ ২৬/ ১২/ ২৩ইং  ধারা- ১৪৩/ ১১৪/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/ ৫০৬ (২) পেনাল কোড রুজু করা হয়। 

প্রকৃতপক্ষে ২৫ ডিসেম্বর (সোমবার) ঘটনাকালীন (বেলা সাড়ে ১২টা) সময় মামলার ২নং বিবাদী সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবু জাফর তার ঢাকার বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। যা সিসি টিভি ফুটেছে স্পষ্ট উঠে এসেছে। অতএব এই মামলাটির বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক এটি একটি মিথ্যা মামলা। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিছক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামালাটি সাজানো হয়েছে।

ঘটনার দিন ও সময়ে সংবাদ সারাবেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী আবু জাফর চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় ছিলেন না। তিনি বহুদিন যাবত এলাকায় যানও না। তিনি সংবাদ সারাবেলা পত্রিকাটি প্রকাশনার দায়িত্বে ঢাকার নিজ অফিসে ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজে কর্মব্যস্ত থাকেন। 

একজন সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। সংবাদ সারাবেলা পরিবার এই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
জবির ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের দায়িত্ব নিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

জবির ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের দায়িত্ব নিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন