দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে একটি পিকনিক স্পটে শিক্ষক মিলনমেলা আয়োজন করায় গাজীপুরে এক শিক্ষক নেতাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময়ে অননুমোদিত সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়ার কারণে ওই পিকনিক স্পটকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন অপর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার শাহরুখ খান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর নীলের পাড়া এলাকায় সবুজ ছায়া পিকনিক স্পটে কোনো রকম পূর্ব অনুমতি ছাড়াই শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করেন কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন। সেখানে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সমোবেশ ঘটে। খবর পেয়ে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালান।
এসময় সেখানে ব্যানারে অনেকের নাম লেখা দেখা যায়। তাদের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়দা খাতুন ও বিশেষ অতিথি সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের নাম লেখা ছিল। এছাড়াও, সেখানে সকলের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু নির্বাচন আচরণ বিধি অনুযায়ী এধরণের সমাবেশ আয়োজন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি প্রয়োজন।
পূর্ব অনুমতি ছাড়াই এ ধরণের আয়োজন করায় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গাজীপুর কমার্স কলেজ ও হলি চাইল্ড আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং গাজীপুর কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়নের বাসন থানার সভাপতি আলমগীর কবীরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
একই সময়ে নির্বাচনি আচরণবিধি না মেনে এ ধরনের একটি অননুমোদিত সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়ার অপরাধে ওই পিকনিট স্পট কর্তৃপক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরুখ খান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে এ ধরণের সমাবেশ বেআইনী। অনুষ্ঠানের ব্যানারে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যারা এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যাদের নির্বাচনে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কারণে নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয়েছে।