গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে অনিয়মের পর্যালোচনা তুলে ধরেছে- বেসরকারি গবেষণা সংস্থাটির কাছে সেই টাকার হদিস চাইলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? কোথায় আছে সেটা আগে বলেন। সেটার সন্ধান দিলে আমরা জবাব দিব। তাহলে জানান।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবকিছু শতভাগ পারফেক্ট হবে তা আমরা দাবি করি না। সমালোচনা শুদ্ধ করে। সমালোচনা হলে শুদ্ধ হবার একটা সুযোগ হয়। পার্লামেন্টে সমালোচনা হলে আমর শুদ্ধ হতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন বড়দিন উপলক্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে, সম্ভবত ইন্ডিয়ায় আছেন। যারা নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি নিয়ে এত কথা বলছেন, যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি আমেরিকার বহুল প্রচলিত ঘোষণা। আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির প্রধান দুই দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকের পাঁচজন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছেন। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সহিংসতা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। যেহেতু এটি নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়, এটি স্বাধীন। আচরণবিধি যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন তারা যে ব্যবস্থা নিবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।’
‘ভোট বর্জনে’ বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘বিএনপির লিফলেট বিতরণ করবে কেন? নির্বাচনের বিরুদ্ধে, অসহযোগ করবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে? নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। নির্বাচনী শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে, আমরা এটুকুই বুঝি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।