কোনো প্রচেষ্টাতেই হয়ত আর নিয়তিকে ঠেকানো গেলো না। আসন্ন ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার জন্য সবরকমের চেষ্টাই করে যাচ্ছেন ব্রাজিলের পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়র। দিনদুয়েক আগে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে নিজেই জানান দিয়েছেন কতখানি সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে। তবে ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা কথায় অনেকেই আবার আশ্বস্তও হয়েছেন।
চোট আর নেইমার যেন একে অপরের পরিপূরক। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে নেইমারের সামনে বারবারই কাল হয়ে দাঁড়ায় ইনজুরি। গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে বাজেভাবে ফাউলের শিকার হয়ে বাম হাঁটুতে চোট পান নেইমার। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, তার এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ পর অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার হাঁটুতে।
কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্টে লড়াই করার কথা জানান নেইমার। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, কষ্ট ছাড়া ভালো কিছু হয় না, পড়ে না গিয়ে উঠে দাঁড়ানোর মধ্যে বীরত্ব নেই। কষ্ট ছাড়া জয় আসে না।
তখন মনে হচ্ছিল, হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু গতকাল ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেন, কোপা আমেরিকা আর বেশিদিন বাকি নেই। এটা বেশি তাড়াহুড়ো হয়ে যায় তার জন্য। অযথা ঝুঁকি নেয়ার কোনো মানেই নেই। আমরা আশা করছি সে ২০২৪ সালের আগস্টের মাঝে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। লিগামেন্টের ইনজুরিতে নয় মাসের মতো সময় লাগে সুস্থ হতে। এটা মেনে নিতে হবে। আশা করা যায় সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আরও ভালো পারফর্ম করতে পারবে।
এখন পর্যন্ত ১২৯ ম্যাচে ৭৯ গোল করে ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। পিএসজিতে ছয় বছর কাটিয়ে গত অগাস্টে ৯ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেন তিনি। তবে চোটে পড়ার আগে নতুন ক্লাবের হয়ে তিনি খেলতে পারেন কেবল পাঁচ ম্যাচ, গোল করেন একটি।
যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে আগামী বছরের ২০ জুন। ফাইনাল হবে ১৪ জুলাই। ব্রাজিল আছে ‘ডি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে এবং কোস্টা রিকা ও হন্ডুরাসের মধ্যে প্লে অফ বিজয়ী দল।