বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোথায় যেন শূন্যতার সুর। নির্বাচন নিয়ে একদিকে মাঠ গরম আছে ঠিকই, তবে অন্যদিকে মামলা আর গ্রেপ্তারে কারও কারও পিঠ বাঁচানোই দায়। এমন বাস্তবতায় গত দুইবারের প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় নির্বাচনের রেশ কি টানতে হবে এবারো?
ভোটের ময়দানে কতটুকু শোনা যাবে ভোটারদের ভাবনা? এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই জেলে পুরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
এদিকে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০ হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করলে কি আর এই হরতালের দিন গাড়ি চলতো? গণগ্রেপ্তার ছাড়া আমাদের কোনো গত্যন্তর ছিল না। যেটাই করা হয়েছে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেই করেছি।
তবে কি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে কিছুই করেনি আওয়ামী লীগ? ড. রাজ্জাক জানান, বিএনপিকে ভোটে আনার সব চেষ্টাই হয়েছে। এক রাতেই সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি দলটি।
তিনি বলেন, তারা যদি নির্বাচনে আসে তবে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হবে- এমন কথা নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের বারবার বলা হয়েছে। শুধু পিছিয়ে দেয়া না, বলা হয়েছিল যে- সবাইকে জেল থেকে মুক্ত করা হবে। তাদের জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যাবে।
এ সময় তিনি দাবি করেন, সংবিধান সমুন্নত রেখে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেই নির্বাচনে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে আওয়ামী লীগের চেষ্টার কমতি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।